লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের কর্মীদের বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ঈগল) নির্বাচনী কমিটির সদস্য সচিব আওয়ামী লীগ নেতা শামছুল হক মিজান, ৩ সংবাদকর্মীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।

আজ রবিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের নির্বাচনী এলাকার ইছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোন্দড়া ভোট কেন্দ্রের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে সরেজমিনে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ১৫টি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

 

 

আহত মিজান রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব। আহত অন্যরা হলেন স্থানীয় সংবাদকর্মী মিজানুর শামীম, হাসানুর জামান, ইকবাল খন্দকার শান্ত, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও গাড়ি চালক লোকমান হোসেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় শামছুল হক মিজানসহ অন্যরা ভোটকেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।

 
এ সময় কথিত যুবলীগ নেতা জাকির ওরফে হাজি জাকির দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে মিজানের ব্যক্তিগত গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। জাকির নৌকার প্রার্থী আনোয়ার খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। 

 

আহত শামছুল হক মিজান বলেন, ‘হামলায় নেতৃত্বদানকারী জাকির সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।

 
কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের নিয়ে জাকির আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের রক্তাক্ত ও আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি, মামলা করব।’

 

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে একাধিকবার ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি। 

রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা মিজান হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন।

 
তবে বিকেল পর্যন্ত তিনি থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।’

 

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকা নিয়ে রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আনোয়ার খান ও পবন ছাড়াও এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির মাহামুদুর রহমান (লাঙল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিয়াজ মাখলুম ফারুকী (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশাররফ হোসেন (আম), স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ গোফরান (কেটলি)।