ঢাকা: শিক্ষা ও মানবসম্পদ মিলিয়ে বাজেট শতকরা তিন ভাগের কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, বর্তমানে এই খাতে বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আগের তুলনায় বাজেট বেড়েছে, তবে তা আরো বাড়াতে হবে। 

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে লার্নিং লস নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বরাদ্দ নয়, ভালো মানের কারিকুলাম ও শিক্ষক না থাকলে আউটকাম পাওয়া যাবে না। বর্তমানে একটি ভালো শিক্ষাক্রম হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ ও তাঁদের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। এসব কাজ শেষ হলে বরাদ্দ বাড়বে। শিক্ষায় একটি মেগাপ্রজেক্ট হবে। শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা যত ভালো করতে পারব, আমরা তত এগিয়ে যেতে পারব। শিক্ষা রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়াকে আরো অনেক ভালো করার চেষ্টা করছি।’

বৈশ্বিক অতিমারি করোনার কারণে সারা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষায় এর প্রভাব পড়েছে। তবে লার্নিং লস বা গ্যাপ পূরণে সময় লাগবে। একটি বা দুটি শিক্ষাবর্ষে তা পূরণ হবে তেমন নয়। করোনায় ক্ষতির পাশাপাশি অনেক সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজেরা চেষ্টা করে শেখার যোগ্যতা অর্জন করেছে, প্রযুক্তি ব্যবহার শিখেছে।’

গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর মতামত দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সচিব ফরিদ আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এনসিটিবি সদস্য এ কে এম রেজাউল হাসান।