ঢাকা : বৃষ্টি কমে যাওয়ায় সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বন্যাকবলিত ১৬ জেলার বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি ও সড়ক এখনো জলমগ্ন থাকায় দুর্ভোগে আছে মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকায় বাড়ছে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর, ঠান্ডা ও পানিবাহিত রোগ।

সিলেট অঞ্চলে কুশিয়ারা বাদে বাকি সব নদ-নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচে। কুশিয়ারার পানি না কমায় সিলেটের দক্ষিণের উপজেলাগুলো এখনো বন্যাকবলিত। দুর্গতদের আশ্রয়ে জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ এলাকায় বাড়ানো হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা।

তবে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল, বলছেন বন্যার্তরা। শুকনো খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজন চাল,ডাল ও রান্না করা খাবারের।

সুনামগঞ্জে সুরমা নদী বিপৎসীমার নিচ নিয়ে প্রবাহিত হলেও শহরের অন্তত ১৫টি এলাকা এখনো জলমগ্ন। বানভাসিরা অবস্থান করছেন ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার পানি পুরোপুরি নামেনি। এতে করে দুর্ভোগে আছে প্রত্যন্ত হাওরের বন্যার্তরা।

নেত্রকোনায় এখনো পানিবন্দী দুই লক্ষাধিক মানুষ। পানি কমার পর নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। সেখানে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে পানি না কমায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। আয় বন্ধ হওয়ায় কোনোমতে ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছেন তারা।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে অনেক এলাকার ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট এখনো পানির নিচে।