দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এতে করে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হলো। আজ রাতে প্রথম তারাবি ও সেহরি খাবেন দেশের মুসলমানরা। আগামীকাল শুক্রবার প্রথম রোজা রাখবেন বাংলাদেশের মুসলমানরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ৩০ শাবান জমাদিউস সানি ১৪৪৪ হিজরি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
এদিকে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আকাশে গতকাল বুধবার (২২ মার্চ) দেখা গেছে পবিত্র রমজানের চাঁদ। এদিন রাতে তারাবি নামাজ ও সেহরির মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান।
রমজান হিজরি সনের বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস। এ মাসে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান রোজা পালন করা হয়। পুরো বিশ্বের মুসলমানরা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা রাখেন। কারণ, রোজা শুরুর জন্য চাঁদ দেখা আবশ্যক।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার করো। যদি আকাশ তোমাদের কাছে মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে তোমরা ৩০ দিন পূর্ণ করো।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৮১)
এছাড়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করতে বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘লোকেরা রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করছিল, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানালাম, আমি চাঁদ দেখেছি। তিনি রোজা রাখলেন এবং অন্যদের রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন।’ (সুনানে আবি দাউদ)
রমজান মাসের বিশেষ আমলগুলোর মধ্যে রয়েছে- তারাবি নামাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) তারাবির নামাজের প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও পরকালের আশায় রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল (তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের পাপ মার্জনা করা হবে।’ (নাসায়ি, হাদিস : ২২০৫)