দেশের সব জেলায় নারী সার্কেল এসপি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সোমবার (১৩ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন প্রতিপাদ্যে’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

আইজিপি বলেন, সার্কেল এসপি কিংবা সার্কেল অ্যাডিশনাল এসপি হিসেবে যখন একজন নারী দায়িত্ব পালন করবে তার মধ্যে কনফিডেন্সে ডেভেলপমেন্ট করবে। সেই কনফিডেন্স দিয়ে নারী পুলিশ সুপার হিসেবে এসপির দায়িত্ব পালন করতে পারবে।

নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি যদি আমার অধিকার পেতে চাই তবে সোচ্চার হতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রাম ও যোগ্যতা প্রমাণের মধ্য দিয়ে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশের নারী পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। নারী পুলিশ সংযোজনের ফলে আমাদের সক্ষমতার মাত্রা অর্ধেক পরিমাণে বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে চারজন নারী ডিআইজি, ২৪ জন নারী অতিরিক্ত ডিআইজি ও ৬৪ জন নারী পুলিশ সুপার রয়েছেন। নারী পুলিশ ক্যাডারের সংখ্যা ২৯৯ জন। পুলিশে আরো নারী সদস্য বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আশা করছি ধীরে ধীরে এই সংখ্যা আরো বাড়বে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রতিটি থানায় নারী ও শিশু ডেস্ক স্থাপনের ফলে নারী ও শিশু ভুক্তভোগীরা নির্দ্বিধায় তাদের সমস্যার কথা খুলে বলতে পারছে এবং সেই অনুযায়ী সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে জনবান্ধন পুলিশে পরিণত হচ্ছে। নারী পুলিশ সদস্যরা পুলিশের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিতে ও পুলিশের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে যেভাবে দায়িত্ব পালন করছে তা জনগণের কাছে প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এটা সফলভাবে পরিচালনা করতে পেরেছি শুধুমাত্র নারী পুলিশ সদস্যদের একাগ্রতায় সম্ভব হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার আ্যন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. তানিয়া হক।

এছাড়াও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, এসবির উপ-মহাপরিদর্শক আমেনা বেগম, সাবেক ডিআইজি মিলি বিশ্বাস ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।