ঢাকা: যুব সমাজকে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাঠে কাজ করা ও ফসল ফলানো গৌরবের বিষয়। সেভাবে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এই সরকার খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ যেন খাদ্যে কষ্ট না পায় সেটাই সরকারের লক্ষ্য।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শিখে আর মাঠে যেতে চায় না। এমনকি বাবা কৃষক ছিল সেটা বলতেও লজ্জা পেত। আজ কিন্তু আর সেই লজ্জাটা নাই। সে লজ্জাটা আমরা ভেঙে দিয়েছি। যেটা খেয়ে জীবন বাঁচবে সেই কাজ করা লজ্জা না, সেটা গর্বের। কাজেই সেই মানসিকতাটার পরিবর্তন করা একান্ত প্রয়োজন ছিল। আজ অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন দেখি ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। সে কারণে পুনরায় কৃষি গবেষণা, উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকদের মাঝে উন্নত মানের সার বীজ সরবরাহ,কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করার পদক্ষেপ নেই। ফলে সেই অন্ধকার যুগ কাটিয়ে আমরা এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাজীপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর তিনি বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্রের ইনোভেশনস পরিদর্শন করেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির (সিইইউ) নির্বাহী পরিচালক ড. স্টেভিন ওয়েব, ফিলিপাইনের ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ড. জেইন বালিই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।