দেশের তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সার্টিফিকেট-সর্বস্ব ও নোট মুখস্থ করার শিক্ষা নয়, বিশ্লেষণধর্মী ও প্রায়োগিক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে (আইটি) দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে একবিংশ শতাব্দীর নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যোগ্য হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ‘ষষ্ঠ সমাবর্তন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। প্রাথমিক থেকে উচ্চতর স্তরে সর্বত্রই বিজ্ঞান ও প্রায়োগিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। সার্টিফিকেট-সর্বস্ব ও নোট মুখস্থ করার শিক্ষা নয়, বিশ্লেষণধর্মী ও প্রায়োগিক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি (মানসম্মত শিক্ষা) শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, বুদ্ধিবৃত্তিক বৃদ্ধি, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ এবং সর্বপরি গভীর দেশপ্রেম জাগরণের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানে চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপ্রধান বিইউপি কর্তৃপক্ষকে গবেষণা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবিত নতুন ধারণা এবং কৌশলগুলোকে আয়ত্ত করে আমাদের নিজেদের আপ-টু-ডেট রাখতে হবে।
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষা কেবল ডিগ্রি অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, একজন স্নাতকের আসল সাফল্য নির্ভর করে কীভাবে একজন শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত, সামগ্রিক এবং পেশাগত জীবনে এর সুবিধা নিতে পারে তার ওপর।
সমাবর্তনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০০৮ সালে ৩১তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিমধ্যে ২৯ হাজার ৮৯২ স্নাতক সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ষষ্ঠ সমাবর্তনে, ৩৬ স্নাতক ডিগ্রিধারীকে ‘চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক’, ২৯ জনকে ‘ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়।