ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একশ/সোয়াশ বছরের মধ্যে এমন প্রলয়ংকরী বন্যা হয়নি। এবারের বন্যা স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহতম। গ্রাম, নগর, শহর, সড়ক-মহাসড়ক প্লাবিত হয়েছে। বন্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছি। 

আজ বুধবার (২২ জুন) সকালে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বন্যার্তদের সহায়তায় প্রশাসনসহ সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‌নদীমাতৃক দেশ আমাদের। বন্যার সঙ্গেই আমাদের বসবাস করতে হবে। এ জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো আমাদের তৈরি করতে হবে।

বন্যা শুধু দুর্ভোগের কারণ নয়, এটি একদিক থেকে আশীর্বাদও বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বন্যা একদিক থেকে আশীর্বাদ। কারণ, এতে ভূগর্ভস্থ্য পানির স্তর উন্নত হয়। জমির উর্বরতাও বাড়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। তারপরও আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের বন্যার সঙ্গে বসবাস করতে হবে। কেননা, এটি বন্যাপ্রবণ এলাকা।

বন্যার্তদের সহায়তার বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষকে আশ্বাস দিতে চাই, সরকার আপনাদের পাশে আছে। মানুষের ভোগান্তি লাঘবে আমরা সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হলো শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির। আমরা তার ব্যবস্থাই করছি। আমাদের দলের নেতাকর্মীরাও সাধ্যমত দুর্গত মানুষের ঘরে শুকনো ও রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে বাড়িঘর মেরামত এবং কৃষি পুনর্বাসনের কর্মসূচি হাতে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের নির্দিষ্ট করে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।