ঢাকা: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আর মাত্র বাকি দুই দিন। ২৫ জুন (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের এই সেতু উদ্বোধন করবেন। সেতুটি উদ্বোধনের পরদিন যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ হবে খুবই সহজ। সময় কমবে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা।

এদিন পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছাই রঙের স্যুট, আকাশি–নীল শার্ট ও লাল টাই সরবরাহ করা হয়েছে। তারা এই পোশাক পরেই উদ্বোধনের দিন ছবি তুলবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রী, কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে সেতুর ওপরে ছবি তুলবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছবি পদ্মা সেতু জাদুঘরে স্থান পাবে।

পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পদ্মা সেতুতে দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফার মতো করে আলোকসজ্জা করা হবে। বিশেষ করে দিনেও আলোক সজ্জায় বিমোহিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। রঙ-বেরঙের দ্যুতি ছড়াবে অবকাঠামো বা স্ট্রাকচারগুলোর মধ্য থেকেই। আর্কিটেকচারাল লাইটিং নামে পরিচিত এই লাইটিং সেট করার সব ব্যবস্থা রেখেই পদ্মা সেতুর অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। পুরো সেতুর অবকাঠামো শেষ হওয়ার পরই লাইটগুলো স্থাপন করা হবে।

সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনাও সাজানো হচ্ছে। হাতিরঝিলে লেজার রাইট শো ও আতশবাজি ফোটানোর কর্মসূচিও আছে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকবে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সারাদেশই উৎসব করবে। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতু দুটি এবং প্রধান কার্যালয় আলোকসজ্জিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ২৫ জুন (শনিবার) পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। ওই দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায় উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন এবং সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন। এরপর তিনি টোল দিয়ে সেতু পার হবেন। তিনি জাজিরায় আবার ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর বিকালে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।