ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে নর্ডিক রাষ্ট্রসমূহ আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নর্ডিক রাষ্ট্রসমূহের রাষ্ট্রদূতগণ।

আজ বৃহস্পতিবার স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তারা এই আগ্রহের কথা জানান।

সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন নর্ডিক রাষ্ট্রসমূহ তথা সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি স্ট্রাপ পিটারসেন এবং নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন। সাক্ষাৎকালে তারা নর্ডিক রাষ্ট্রসমূহের সাথে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, পদ্মাসেতু নির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, লিঙ্গ বৈষম্য দূর, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।'

তিনি আরো বলেন, 'অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনজীবন সুরক্ষিত করেছে সরকার।'

এ সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ ভূমিতে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে নর্ডিক রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দৃপ্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।' রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি স্ট্রাপ পিটারসেন বলেন, 'বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে নর্ডিক রাষ্ট্রসমূহ আগ্রহী।'

জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য বৈশ্বিক বিষয়ে নর্ডিক রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের বন্ধুত্বের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে উপহারস্বরূপ একটি স্মারক গ্রন্থ প্রদান করেন তিনি।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন বলেন, 'ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে নরওয়ে আন্তরিক। পরিবেশবান্ধব উপায়ে সিপ-রিসাইক্লিং শিল্পের প্রসারে সহায়তা দিতে নরওয়ে আগ্রহী।'

রাষ্ট্রদূতগণ জানান, ১৯৬২ সালের ২৩ মার্চ ঐতিহাসিক হেলসিংকি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেই দিনটি নর্ডিক রাষ্ট্রসমূহ ‘নর্ডিক দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। এ সময় তারা স্পিকারকে আগামী ২৩ মার্চ ‘নর্ডিক ডে’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানান।