যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) মানব পাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে পরিচালিত ‘ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস’ প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশের চার শতাধিক বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ট্রাইব্যুনাল কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী এবং স্থানীয় পর্যায়ের পাচার-প্রতিরোধকারী কমিটির ৩ হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এসব তথ্য জানায়।

দূতাবাস জানায়, বুধবার ইউএসএআইডির দাসত্ব ও মানব পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রকল্প ‘ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস’-এর অধীনে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সংশোধন ও সম্প্রসারণের জন্য আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।

এতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন অংশ নেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানব পাচার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে সাতটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে, পাচার-বিরোধী টাস্ক ফোর্স গঠন এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হবে এবং এই সময়ে বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে যাতে অপরাধীদের শাস্তি জোরদার হয় এবং পাচারের শিকার থেকে রক্ষা পাওয়া ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা ও তাদের সমাজে পুনঃএকত্রীকরণে সহায়তা করা যায়।

শার্জে ডি অ্যাফেয়ার্স লাফাভ বলেন, কোনো পরিকল্পনাই সফল হতে পারে না যদি না সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা না হয়। আর সেই কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার করা ও মানবপাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধের অবসানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা অব্যাহত রাখবে।