ঢাকা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে কেউ পার পাবে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণ ও সন্ত্রাস কার্যক্রমের বিষয়ে শুনেছি অবশ্যই আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চুরি, ডাকাতি,অপহরণ হতে দেব না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির’ ২৬তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কক্সবাজারের একটি মাদকের তালিকার প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে দেখে নেই। পরীক্ষা করে দেখি। তালিকা হলে যে অপরাধী সেটা জাস্টিফাই করে গোয়েন্দাদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায়ই ঘটছে গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ড। টেকনাফে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটছে একের পর এক। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সংঘর্ষ, গোলাগুলির কারণে উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সামছুল আলম দুদু ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিবর রহমান, ওই সময় পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে গত শুক্রবার বিকালে দুইদিনের সফরে কক্সবাজার আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকা থেকে বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছালে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিতসহ অন্যান্য নেতারা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।