ঢাকা: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপচে পড়া ভিড়। তবে কালের বিবর্তনে বদলে যাচ্ছে শ্রদ্ধা নিবেদনের ধরন। স্মৃতিসৌধের বেদিতে সবাইকেই জুতা পায়ে উঠতে দেখা যায়। 'স্মৃতিসৌধের মর্যাদা রক্ষার্থে জুতা ও স্যান্ডেল পরে উঠবেন না'-অন্যান্যবার স্মৃতিসৌধের সামনে এ ধরনের সাইনবোর্ড থাকলেও এবার তা দেখতে পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকাল ৭টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এরপর সর্বসাধারণের প্রবেশ উন্মুক্ত করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন। এ সময় সাংগঠনিক ব্যানার, স্লোগান ও সেলফি তুলতেই অনেককে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর অন্যান্য রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন বেদিতে উপস্থিত হয়। সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিএনপিসহ তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দলে দলে হাজির হন।
নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল থেকেই স্মৃতিসৌধসহ আশপাশের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতা দেখা যায়। প্রবেশপথের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর এ দেশের প্রথম শ্রেণির সব বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্মান জানাতে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়।