ঢাকা: দেশের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

 

 

তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তায় আরো জোর দিতে বলা হয়েছে। জাতীয় তথ্যভাণ্ডারের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী সাবমেরিন ক্যাবলের জন্য যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আর যে সকল স্থানে গ্যাস ও তেল পাইপলাইনে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করে সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যাতে পরিবহন খরচ না লাগে এবং তাড়াতাড়ি গ্যাস ও তেল সরবরাহ করা যায়।

এখন সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন জোরদার করতে বলা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, গত দুই তিন বছর ধরেই এই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এখন বিষয়টির ওপর আরো জোর দেওয়া এবং আধুনিক উপকরণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কোনভাবেই যাতে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো বিষয় হ্যাক না করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ধীরে ধীরে ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যাওয়া হচ্ছে। এগুলোতে যেন ভাল রকমের নিরাপত্তা থাকে।

তিনি বলেন, সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন-২০২২ আবার পার্লামেন্টে পাঠানো হবে। এর আগে কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের হাতে ছিল। কিন্তু এবার স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়টিও একই বিভাগের অধীন নিয়ে আসা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

সচিব বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, রাষ্ট্রের যত ব্যয় আসবে সব একটা অ্যাকাউন্টে আসবে, একটা অ্যাকাউন্ট থেকেই খরচ করা হবে। যেটাকে আমরা ট্রেজারি বলি। এ ট্রেজারির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো অর্থ বিভাগ। সুতরাং খরচের ক্ষেত্রে যেন অর্থ বিভাগের এখতিয়ার থাকে। যদি কোনো করপোরেশন বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো বেতন কাঠামো ঠিক করে নেয়, তাহলে তো হবে না। সে জন্য যেকোনো অর্থনৈতিক বিষয় হলে অর্থ বিভাগের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে নিতে হবে। এ জন্যই আইনটির মধ্যে এই ছোট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে। ’

এদিন মন্ত্রিসভা বৈঠকে গ্যাস ও তেলের পাইপলাইন নির্মাণকাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদসচিব।

চুক্তির মেয়াদ শেষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তার জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।