বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। আমরা এবার সবার জন্য সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই। আশা করছি, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণে মিৎসুবিশি পাওয়ার পাশে থাকবে।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) মিৎসুবিশি আয়োজিত মিৎসুবিশি পাওয়ার গ্যাস টারবাইন টেকনিক্যাল সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে জ্বালানি নিরাপত্তা ও ডিকার্বনাইজেশন খাতের অগ্রগতি সাধনে বিদ্যুৎ উৎপাদন শিল্পে সর্বাধুনিক সলিউশন ও সার্ভিস নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি ও মিনিস্টার (ডেপুটি চিফ অব মিশন) মাচিদা তাতসুয়া প্রমুখ।

বিপিডিবি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মিৎসুবিশি পাওয়ার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পাবলিক/প্রাইভেট অংশীদার হিসেবে যুক্ত রয়েছে এবং এই দীর্ঘসময়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে সাহায্য করে আসছে। বর্তমানে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও হাইড্রোজেন কেন্দ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে, যা কার্বন নির্গমনের মাত্রা হ্রাস করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। আশা করছি, মিৎসুবিশি পাওয়ার দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণের সঙ্গে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য অর্জনে সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

মিৎসুবিশি পাওয়ারের গ্যাস টারবাইনগুলো সারা দেশে পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিডকে সহযোগিতা করছে। এর এম৭০১এফ গ্যাস টারবাইনটি হরিপুরে বাংলাদেশের প্রথম বৃহৎ-শ্রেণির গ্যাস টারবাইন হিসেবে ইনস্টল করা হয়েছে। সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্ল্যান্টগুলো কার্যকর রাখতে বিক্রয়োত্তর এবং অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ সার্ভিস স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখা হয়েছে।