কুমিল্লা: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারে মতো কুমিল্লা সিটি করেপোরেশনের (কুসিক) নগরপিতা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। বুধবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে কুমিল্লার মেয়র হিসাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, নির্বাচনের এই ফল প্রত্যাখ্যান করছেন দুবারের সদ্য সাবেক মেয়র ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে গুটি কয়েক কেন্দ্রের ফল আটকে রেখে আমাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে ১০৫ কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর টেবিল ঘড়ি প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। এ হিসাবে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে রিফাত সাক্কুকে পরাজিত করেন।
এর আগে, আজ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে।
সারাদিন অনুষ্ঠিত ভোটে প্রায় সবকেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়। তবে, সকালে বৃষ্টির জন্য ভোটারের উপস্থিতি কম চোখে পড়ে। নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর না পাওয়া গেলেও আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন- কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত (নৌকা), টানা দুবারের সদ্য সাবেক মেয়র ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ)।
এছাড়া, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।
কুসিক নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর হিজড়া ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়।