ঢাকা: দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এ সকল মানুষকে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরসহ সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ১২০০ স্বেচ্ছাসেবক।
এরই মধ্যে সোসাইটির ৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ঝড়ের কবলে পড়া মানুষজন। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে সোসাইটি।
এ ছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সহায়তা দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে।
সমুদ্রবন্দরগুলোতে বিপৎসংকেত ও সতর্কবার্তা প্রচারে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের সাথেও কাজ করছেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশে সিত্রাং আঘাত হানতে পারে―এমন আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে বিপদগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে মাইকিং করছেন তারা।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আবদুল ওয়াহ্হাব বলেন, ‘আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে ঝুঁকিপূর্ণ লাখ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তার ভীষণ প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে সব ধরনের জরুরি সহায়তা দিতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। ’
এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণে জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে রেড ক্রিসেন্ট। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স।
এ ছাড়া তারপুলিন, জেরিকেন, স্লিপিং ম্যাট, বালতি, হাইজিন কিটসহ অন্যান্য সামগ্রী মজুদ রেখেছে সোসাইটি, যা প্রয়োজনে বিতরণ করা হবে। বিডিআরসিএসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জাতীয় সদর দপ্তর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), আইএফআরসি, আরআরআরসি, ইউএনএইচসিআর, ইউএন রিফুজি এজেন্সি ও আইওএমের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।