দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার পূর্ণ সম্ভাবনা এবং সুবিধাগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সফররত সার্ক মহাসচিব এসালা ভিরাকুনের সঙ্গে এক বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সার্ককে গতিশীল করার আহ্বান জানান তিনি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব করোনা মহামারির সময়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমন্বয়, বিভিন্ন সুবিধা প্রদানসহ সক্রিয় ভূমিকা রাখায় মহাসচিবের প্রশংসা করেন।
মহাসচিব পররাষ্ট্র সচিবকে সার্ক সহযোগিতার বর্তমান অবস্থার বিভিন্ন দিক এবং সংস্থাটি যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে সেগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। একইসঙ্গে অচলাবস্থা নিরসনে সার্কের বিভিন্ন স্থবির কার্যক্রম ও কর্মসূচি সক্রিয় করতে বাংলাদেশের সহায়তা কামনা করেন।
তারা সার্কের বর্তমান কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্র সচিব সার্কের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং সংস্থাটির ব্যবস্থাপনার অধীনে সহযোগিতার মাধ্যমে এ অঞ্চলে একটি টেকসই ও সমন্বিত উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি সার্ককে একটি অর্থবহ আঞ্চলিক সংস্থায় রূপান্তর করতে মহাসচিবকে যথার্থ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
এছাড়া সচিব সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ক্রমাগত পরামর্শের মাধ্যমে উদ্ভাবনী উপায়ে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের উপায় অনুসন্ধান করার পরামর্শ দেন তিনি।
দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং নিজেদের মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির দর্শন নিয়ে ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে সার্ক। ওই বছরের ৭ থেকে ৮ ডিসেম্বর ঢাকা সম্মেলনের মাধ্যমে জোটটি সাংগঠনিক কাঠামো পায়। সার্কের সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।