মার্কিন সাময়িকী টাইম প্রকাশিত ২০২৫ সালের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ম্যাগাজিনে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে নিয়ে মুখবন্ধটি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
সাবেক মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট হিলারি ক্লিনটন লিখেছেন, ‘গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন এক অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর একজন সুপরিচিত নেতা জাতিকে গণতন্ত্রের দিকে পরিচালিত করার জন্য এগিয়ে আসেন—তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।’
‘ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কয়েক দশক আগে ড. ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
হিলারি ক্লিনটন লিখেছেন, ‘ইউনূসের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় যখন তিনি তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটন ও আমাকে যুক্তরাষ্ট্রে একই ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে আরকানসাসে ভ্রমণ করেছিলেন। তারপর থেকে আমি বিশ্বের যেখানেই গেছি, তার কাজের অসাধারণ প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছি—তার কাজে বদলে গেছে জীবন, উন্নত হয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং নতুন করে জন্ম নিয়েছে আশা।’
‘এখন ইউনূস আবারো তার দেশের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন।
আজ বুধবার ২০২৫ সালের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে টাইম। তালিকাটি বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে—আর্টিস্ট, আইকন, লিডার, টাইটান, পায়োনিয়ার ও ইনোভেটর।
‘লিডার’ শ্রেণিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন— কিয়ার স্টারমার, ক্লডিয়া শেইনবাউম, ডোনাল্ড ট্রাম্প, মারিয়া কোরিনা মাচাদো, ইলন মাস্ক, মুহাম্মদ ইউনূস, হাওয়ার্ড লুটনিক, টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস, জে ডি ভ্যান্স, রেশমা কেওয়ালরামানি, ফ্রেডরিখ মেৎস, মেগান কেলি, লি জে-মিয়ুং, তেরেসা রিবেরা, রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র, আন্দ্রেয়া ভিদাউরে, দুমা বোকো, রাসেল ভট, হাভিয়ের মিলেই, নোয়া আরগামানি, মো আবুদু এবং আহমেদ আল-শারা।