মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ নিয়ে কটাক্ষ করায় ‘প্রথম আলোকে’ জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন তিনি। ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো ঈদের মতো একটি পবিত্র ইবাদতকেও কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেনি।’
ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, ‘প্রথম আলোর ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি, এ কেমন অদ্ভুত আচরণ? প্রথম আলো গত ৩০ মার্চের পত্রিকায় ঈদ শুভেচ্ছার কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি খুবই জঘন্য। প্রথম আলো ঈদের মতো একটি পবিত্র ইবাদতকেও কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেনি। তা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এদিকে ইসলামবিদ্বেষ ও ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ করায় তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা। জামায়াতের আমিরকে সমর্থন করে নানা মন্তব্য করছেন তারা। আহনাফ মাহদি নামের এক ব্যক্তি ওই পোস্টে লিখেছেন, প্রথম আলোর ডিক্লায়ারেশন বাতিলের পক্ষে আন্দোলন হতে হবে, এমন ইসলামবিরোধী, দেশবিরোধী পত্রিকা বাংলাদেশে চলতে পারে না। মো. সৌরভ হোসেন নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, অবিলম্বে প্রথম আলো নিষিদ্ধ করতে হবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এদিকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওই পোস্ট শেয়ার করে ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ করায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাজারো মানুষ। সুমন মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি পোস্টটি শেয়ার করে লিখেছেন, জামায়েতের আমিরকে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ভেতর থেকে ভালোবাসা রইল। ফয়েজ আহমেদ লিখেছেন, বাংলাদেশে এদের সব প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।
মুন্সি মাজহারুল আনোয়ার লিখেছেন, প্রথম আলো হলো দিল্লি পরিচালিত ও ইসলামবিদ্বেষী গণমাধ্যম।
জি এম গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার- এরা তো কোনো পত্রিকা নয়, এরা হলো বাংলাদেশে নিযুক্ত ‘র’-এর মুখপাত্র, ভারতের দালালদের কলমের আশ্রয়স্থল! এসব তথাকথিত পত্রিকাকে বিলুপ্ত করা উচিত...। আনোয়ার হোসেন বলেন, নাস্তিক প্রথম আলো সাংবাদিককে ক্ষমা চাইতে হবে।