বছর ঘুরে আবার এলো শান্তি ও সুন্দরের বৈশাখ। শুরু হলো আরেকটি নতুন বছর। আজ সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর রমনার বটমূলে চলছে ছায়ানটের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণ অনুষ্ঠান। এতে অংশ নিয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, ধনী, গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষ।

এ বছরের অনুষ্ঠানের মূল বার্তা— ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, যা প্রতিফলিত হয়েছে গান, আবৃত্তি ও পরিবেশনার প্রতিটি পরতে।

 
 

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রমনায় ভিড় বাড়ছে মানুষের। নারী-পুরুশ ও শিশুরা দলে দলে আসছেন অনুষ্ঠানস্থলে। শাহবাগ ও মৎস্য ভবনের সামনের দুটি গেট দিয়ে তারা পার্কে ঢুকছেন।

সবাইকে রমনায় প্রবেশের আগে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে প্রবেশ করাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন রাস্তার দুইপাশের ফুটপাত ধরে শত শত মানুষ হাঁটছেন। তাদের সবার পরনে বৈশাখের পোশাক। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ ছবি তুলছেন।
নিজেকে সেলফিবন্দি করতে ভুলছেন না তারা। কেউ আবার রোদের তীব্রতা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য সঙ্গে ছাতা নিয়ে এসেছেন।

 
 

এ ছাড়া শাহবাগ ও মৎস্যভবনের মাঝে ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে আরেকটি গেট করা হয়েছে। সেটি দিয়ে পার্কে প্রবেশকারীরা ঘোরা শেষে বের হচ্ছেন। তবে বের হওয়া মানুষের চেয়ে প্রবেশকারীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।

 

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ আলাদা করা হয়েছে।