অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য, দলীয় নেতা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, স্টাফসহ ১৫ জনের অধিক ব্যক্তি।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহর এরই মধ্যে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। রাত ১০টায় কাতারের একটি বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঢাকা ছেড়ে যাবেন তিনি।
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হয়েছেন গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমও। এটি নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় দুই যুগ ধরে ভোলার বাসিন্দা ফাতেমা খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন।
এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা আদালতের অনুমতি নিয়ে কারাগারেও ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় চেয়ারপারসনের এই কাজগুলো সঠিকভাবে করার কারণে খালেদা জিয়া এখন তার কাজগুলোর ব্যাপারে ফাতেমার ওপর নির্ভর করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। এর পর থেকেই তার সঙ্গে স্বেচ্ছায় কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ২৫ মাস ছিলেন ফাতেমা বেগম।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যখন গুলশানের কার্যালয়ে থেকে খালেদা জিয়াকে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না ওই সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের পেছনে পতাকা হাতে দাঁড়ানো ফাতেমাকে নিয়ে অনেকেই কৌতূহল দেখান। খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ থাকার সময় গুলশান কার্যালয়ে ফাতেমার সঙ্গে কোনো কোনো সাংবাদিকের কথাও হয়েছে।
ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে ঢাকার শাহজাহানপুরে থাকতেন। এখন তার মা-বাবা ও এক ছেলে শাহজাহানপুর এলাকাতেই থাকেন। খুবই স্বল্পভাষী ফাতেমা সর্বশেষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে তিনি অনেক দেশে গেছেন।’