ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে যদি সহনশীলতা জাগ্রত করা না যায়, তাহলে সংকট থেকে যাবে। নির্বাচন হাড্ডাহাড্ডি যখন হয়, তখন ভোটের শেষে মারামারিটা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে গণফোরামের সঙ্গে সংলাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, কালকে একটা ঘটনা ঘটেছে (ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে)। নির্বাচন হাড্ডাহাড্ডি যখন হয়, তখন ভোটের শেষে মারামারিটা হয়। কালকে একটা বাচ্চা মারা গেছে। রাত ১০টা-১১টার দিকে ফোন করেছি ডিসি, এসপিকে যে কী হলো। নির্বাচনটা শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং মেম্বার প্রার্থী হামলা করে বসল।
তিনি বলেন, আমাদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা আছে, আমি নির্বাচন করব এবং আমাকে জিততেই হবে। হারতে যে হতে পারে, এটা কিন্তু কেউ মেনে নিচ্ছে না। মনস্তাত্ত্বিক দৈন আমাদের মধ্যে আছে। তাই সহনশীলতা যদি জাগ্রত করা না যায় তাহলে সংকট থেকে যাবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি আপনারা নিয়ন্ত্রণ করেন। রাজনীতির সংস্কৃতি ধারণ করা, লালন করা আপনাদের দায়িত্ব। আপনাদের দায়িত্ব অনেক বড়। আপনাদের কাছে ছোট কিন্তু আমাদের কাছে অনেক বড়। আপনাদের বক্তব্য শুনেছি। চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সঠিক, সুস্থ, অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা আমাদের দায়িত্ব বলতে চাচ্ছি না। আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বে নেই এবং প্রশাসনিক সংগঠন। আমাদের কাজ হবে নির্বাচনে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে হবে, এই ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করব সর্বাত্মক। আপনাদেরও সহযোগিতা চাইবো। আপনাদের আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে। নির্বাচনের মাঠে যদি আপনারাও থাকেন, আমরাও যদি থাকি, তাহলে কোনো অপশক্তিকে প্রতিহত, প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
গণফোরামের নির্বাহী সদস্য মোকাব্বির খানের নেতৃত্বে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।