নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিএমপি'র গুলশান জোন খিলক্ষেত থানার এসআই সজিব সাদা পোশাকে রাত দিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, নিজের মনমতো যাকে তাকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন মামলায়। এসআই সজিব একাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে তার নিজস্ব সোর্স বানিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজেকে স্পেশাল টিমের প্রধান দাবি করে নানান রকম কুকর্ম করে যাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সোর্সের সহযোগিতায় এসআই সজিব, আনসার নবী সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার বানিজ্য করেন খিলক্ষেত এলাকায়। সাদা পোশাকে গ্রেপ্তারের নামে বাণিজ্য করার জন্য গড়েছেন নিজস্ব বাহিনী। সোর্স ব্যবহারে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একাধিক সোর্স নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এসআই সজিব। সোর্সদের ব্যবহার করে নানান কুকর্মসহ করছেন মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ। সোর্সদের দিয়ে করাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। এসআই সজিব'র নিজস্ব বাহিনীতে রয়েছেন আনসার নবী, সোর্সদের প্রধান শাকিল। পুলিশের চাকরি করলে সব কিছু করা যায় এমনটাই ধারণা এসআই সজিব'র।
এখানে উল্লেখ থাকে যে, পুলিশ হচ্ছে জনসাধারণের ভরসা। কিছু পুলিশ আছে ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। সোর্সদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সোর্স শাকিলের পরিকল্পনায় গত ১০ এপ্রিল রোববার রাত ১২টার দিকে অপরাধ বিচিত্রার সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীন ও এক নারীকে ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেন এসআই সজিব।
ওই নারীকে এসআই সজিব বলেন, "এ বিষয়ে যদি কখনও কাউকে কোন কিছু প্রকাশ করা হয় তাহলে মনে রাখিস এখন কি হয়েছে পরবর্তীতে তার চেয়েও ভয়ংকর অবস্থা হবে। মনে রাখিস আমি কিন্তু পুলিশ। আমি চাইলে সব পারি।" এছাড়া সোর্স শাকিলকে যেন কেউ কিছু না বলার জন্য হুমকি প্রদান করেন এসআই সজিব।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার এসআই সজিব'র সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্বাধীন আমাদের সাজানো সোর্সদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল সেই প্রমাণ আছে।
এদিকে সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীনকে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (BMSF)।
প্রতিবাদ পত্রে কেন্দ্রীয় বিএমএসএফ সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাইলট বলেন, সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীন ঢাকা বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, গুলশান ও বনানী থানা এলাকায় মাদক কারবারের সাথে পুলিশ প্রশাসনের যোগসূত্র নিয়ে একাধিক নিউজ করেন। এতে দূর্নীতিবাজ পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় সদস্য সাংবাদিক স্বাধীনের উপর সংক্ষুব্ধ হন। মূলধারার সংবাদ কর্মীর কলমের শক্তির কাছে পেরে না ওঠে খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক সজিব হয়রানীমূলক মামলার আশ্রয় নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ব্যক্তি জীবনে স্বাধীন অধুমপায়ী। অথচ তাকে দেওয়া হয়েছে মাদক সেবনের মামলা!
তিনি আরো বলেন, কলমের শক্তিকে মামলা দিয়ে দমানো যাবেনা। সত্য কোন দিন ঢেকে রাখা যাবেনা। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলার পিছনের অনূঘটক কে বা কারা, সেটাও বেরিয়ে আসবে।