ধ্বংসাত্মক গাজা-হামাস যুদ্ধে উভয় পক্ষের মোট ১২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে এমনটাই জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ বৃহস্পতিবার ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় ১০ হাজার ৮১২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরে ১৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে হামাসের একটি সামরিক জোনে আক্রমণ করেছে। হামলায় সামরিক অঞ্চলের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং ৫০ জনের বেশি হামাস জঙ্গিকে হত্যা করেছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে, তারা দক্ষিণ ইসরায়েলি শহর আশদোদ এবং একটি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট নিক্ষেপ করেছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে।
ইসরায়েল শুক্রবার অন্তত তিনটি হাসপাতাল বা এর কাছাকাছি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে গাজার কর্মকর্তারা বলেছেন। ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরো বিপন্ন করে তুলেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা আলজাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘ইসরায়েল গত কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালে একযোগে হামলা চালিয়েছে।’
কিদরা বলেন, ইসরায়েল গাজা শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল চার ঘণ্টার সামরিক বিরতির কথা জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইসরায়েল উত্তর গাজা এলাকায় এই বিরতি প্রয়োগ করা শুরু করবে। যাতে বেসামরিক লোক পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। বহু ফিলিস্তিনিকে আজ সকালে পায়ে হেঁটে সরে যেতে দেখা গেছে। সবাই সাদা পতাকা বহন করে দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : আল-অ্যারাবিয়া