জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার জামিন স্থগিত করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদকের আবেদনে আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। আদালতে দুদকের আবেদনে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। পাপিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু।
গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) এ মামলায় পাপিয়াকে অন্তবর্তী জামিন দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সঙ্গে তাঁর নিয়মিত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন আদালত। সে জামিন স্থগিত করতে চেম্বার আদালতে আবেদনে করে দুদক।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খানি কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন স্থগিত করা হয়েছে।
পাপিয়ার আইনজীবী রবিউল আলম বুদু বলেন, ‘জামিন স্থগিত হওয়ায় আপাতত তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না।” অস্ত্র আইনসহ অন্য সব মামলায় পাপিয়া জামিনে আছেন বলে জানান এ আইনজীবী।
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমনকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে র্যাব। পাপিয়া, তাঁর স্বামী সুমন চার সহযোগীসহ বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছিলেন। তখন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের জন্য অপেক্ষমান বিমান থেকে নামিয়ে এনে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ৪ আগস্ট তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩০ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
ধরা পড়ার পর পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই সময় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি, শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি আলাদা মামলা করে র্যাব। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি পাপিয়া, তাঁর স্বামী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করে। এখন পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্র রাখার মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।