ঢাকা: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ভীত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘ দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস নলেজ ফেয়ার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এরআগে অনুষ্ঠোনে স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতিসংঘ বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ‘উইমেন্স লিডারশিপ : ফস্টারিং চেঞ্জ ইন ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’, ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইমপ্যাক্ট অন ম্যানেজিং ফুড সিকিউরিটি’, ‘পার্টনারশিপ ফর হিউম্যান ডেভলপমেন্ট’ এবং ‘এন্সিউরিং ক্লাইমেট রিসিলেন্স অ্যান্ড হিউম্যানেটারিয়ান অ্যাকশন ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে চারটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সবার জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতকরণ এবং লিঙ্গ সহায়ক বাজেট প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেছেন।

এছাড়া সরকার নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবস্থাপনা এবং শতভাগ স্যানিটেশনে বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’ সকলের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং সামাজিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে কাজ করছে এবং ইতিমধ্যে প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে।

’ কোভিড-১৯সহ বিভিন্ন সংকটের ফলে এসডিজির যেসব সূচকে বিলম্ব হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘ-বাংলাদেশ যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।