প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গকে ইবিএ (অস্ত্র ছাড়া সব কিছু) পরিকল্পনার আওতায় ২০৩২ সাল পর্যন্ত দেশ দুটির বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘উত্তরণকে শাস্তি নয়, বরং পুরস্কৃত করতে ২০২৯ সালের পরিবর্তে ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখুন।’

মোমেন বলেন, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু এবং লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এফপিএস চ্যান্সেলারিতে এবং বাসভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে।

 
বাংলাদেশ কভিড-১৯ মহামারি এবং যুদ্ধের জন্য সমস্যায় রয়েছে। আমরা চাই আপনাদের দুটি দেশই ২০২৯ থেকে আরো তিন বছরের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখুন। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ সুবিধা আমাদের উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’

 

প্রধানমন্ত্রী বেলজিয়ামকে বাংলাদেশে বিশেষ করে ওষুধ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জাহাজ নির্মাণে বৃহত্তর বিনিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

 
তিনি বলেছেন, ‘আপনি নবায়নযোগ্য শক্তির পাশাপাশি জাহাজ নির্মাণ খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। আমরা এখন জাহাজ তৈরি করছি। আপনি আমাদের কাছ থেকে উচ্চমানের জাহাজ তৈরি করিয়ে নিতে পারেন।’

 

দুই দেশের নেতাই ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছেন।

 
দুটি দেশই এই খাতে অনেক সমৃদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ১১৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে।

 

ব্যাংকিং খাতে ভালো হওয়ায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকেও দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে পরিণত করতে লুক্সেমবার্গের প্রতি আহ্বান জানান। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক থাকায় তিনি লুক্সেমবার্গের কাছ থেকে আরো সহযোগিতা চেয়েছেন।

মোমেন বলেন, বৈঠকে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

 
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ব্যবসা বাড়াতে শিগগিরই বাংলাদেশ ও লুক্সেমবার্গের মধ্যে একটি এয়ার সার্ভিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে।

 

এ ছাড়া বৈঠকে আইসিটি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।