বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অবৈধ সরকার যে ভোটচোর এটা আজ সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। কোনো অগণতান্ত্রিক সরকারকে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে। এই সরকারের অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালকচুয়ায় কুমিল্লা-ফেনী-মিসরাই-চট্টগ্রাম তারুণ্যের রোডমার্চের প্রারম্ভিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে এবার কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ করছে বিএনপি। রোডমার্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীনরা টিকতে পারবে না জেনেই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাচ্ছে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন এবার হতে দেওয়া হবে না। ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচন হবে না। ভয় দেখায়! কোনো ভয়ে কাজ হবে না।
সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, সংসদ বিলুপ্ত করুন। না হলে জনগণ জানে কিভাবে দাবি আদায় করতে হয়। শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথ দখল করে রাখতে হবে। রাজপথ দখল করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের নামে সরকার জনগণের সম্পদ লুট করেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মতো আইন করে কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোটের অধিকার হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। কথা পরিষ্কার-হাসিনার অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না।
ফখরুল বলেন, ভোট চুরি আর করতে দেওয়া হবে না। দাবি একটাই আমরা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে চাই। রোডমার্চের মধ্যদিয়ে সরকারকে জানিয়ে দিচ্ছি এখনও সময় আছে পদত্যাগ করেন, নয় তো জনগণ জানে কীভাবে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামাতে হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও মো. শাহাজাহান। সেখানে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ কেন্দ্রীয়-স্থানীয় নেতারা।