ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখন ভোটের অধিকার জনগণের হাতে। কাজেই নির্বাচিত সরকারই নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করবে। এখন আমাদের সংবিধানও জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত করে। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে।’

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপির দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আজ শনিবার প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। 

সাক্ষাৎকারকারী প্রধানমন্ত্রীকে সম্পূরক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি বলছেন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সংবিধান সংশোধন করার জন্য সংসদে তো আপনার প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আপনি কি সংবিধান পরিবর্তন করে সিজি আনার কোনো উদ্যোগ নেবেন? নাকি বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবেন?’

শেখ হাসিনা এর জবাবে বলেন, ‘একসময় তারা (বিএনপি) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করত, এখন তারা দাবি করছে।

কিন্তু ভবিষ্যতে তারা কী করবে তা নিশ্চিত নয়। তা ছাড়া বিএনপি এই (সিজি) ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা হাইকোর্টের বিচারকদের বয়স বাড়ানো, ১.২৩ কোটি ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ ইচ্ছেমতো সরকার বসানোর জন্য নানা ধরনের অপকর্ম করেছে। কোনোটাতেই কাজ হয়নি, কারণ জনগণ তা মেনে নেয়নি।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব―এই স্লোগান আমার দেওয়া। আমি এভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি। সে ক্ষেত্রে ভোট নিয়ে হঠাৎ স্যাংশন দেওয়ার কোনো যুক্তি আছে বলে আমি মনে করি না। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী আমার কোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থার কেউ যদি কোনো অন্যায় করে তার কিন্তু বিচার হয়। এই বিচারে কিন্তু কেউ রেহাই পায় না।’

 

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশ দণ্ডিত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে? পৃথিবীর কোনো দেশ দেবে? তাদের যদি চাইতে হয়, তা হলে আবার আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। আদালতের কাজে আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।’

সাক্ষাৎকারে তিনি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, জাতীয় কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচন, প্রত্যেকটা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলে দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘এসব নির্বাচনে মানুষ তাদের ভোট দিয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। এই নির্বাচনগুলো নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের মানুষ তার ভোটের অধিকার নিয়ে সব সময় সচেতন। কেউ ভোট চুরি করলে তাদের ক্ষমতায় থাকতে দেয় না আমার দেশের মানুষ।’