নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জন্য সংশোধিত নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আজ মঙ্গলবার এই নীতিমালা জারি করে। বিদেশি পর্যবেক্ষক বা গণমাধ্যমকর্মীদের যোগ্যতা, করণীয়, ভিসা প্রক্রিয়া এসব বিষয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে নীতিমালায় বলা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, কেবল অভিজ্ঞরাই নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবেন।
আবেদনপত্র বাছাইয়ের পর ইসি তা অনাপত্তি পত্রের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠাবে। যার অনুলিপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের মতামত বা অনাপত্তির বিষয় ৭ দিনের মধ্যে সরাসরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইসিতে পাঠাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তি মিললে নির্বাচন কমিশন বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক কার্ড দেবে।
নীতিমালায় পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভোটের দিন থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ই-মেইল বা ডাকযোগে নির্বাচনী প্রতিবেদন পাঠাবে।
বিদেশি গণমাধ্যমকেও পর্যবেক্ষকদের সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিদেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ইংরেজি ‘জে’ ক্যাটাগরির ভিসা দেওয়া হবে। আর পর্যবেক্ষকরা পাবেন ‘টি’ ক্যাটাগরির ভিসা।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করলে, পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে, পর্যবেক্ষক বা বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীর কার্ড বাতিল করা যাবে। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাও সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক বা গণমাধ্যমকর্মীকে ভোটকেন্দ্র বা পুরো আসন থেকে বহিষ্কার করতে পারবে।
পর্যবেক্ষকরা অস্থায়ীভাবে শুল্ক অব্যাহতি সুবিধা নিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং উপকরণ আমদানি বা আনতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। শুল্ক অব্যাহতির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। নির্বাচনের পর তারা তাদের যন্ত্রপাতি বা উপকরণ নিয়ে যেতে পারবেন।
বিদেশি গণমাধ্যমকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার জন্য এবং সম্প্রচার করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন একটি মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করবে। পর্যবেক্ষকদের সহায়তার জন্য এয়ারপোর্টে হেল্প ডেস্ক থাকবে। মিডিয়া সেন্টারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের পর্যবেক্ষক কার্ড, গাড়ির স্টিকার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়া হবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, নির্বাচনী আচরণবিধি, নির্বাচনী বিশেষ কর্মকর্তা আইন, স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক নীতিমালা, সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ আইন মেনে চলতে হবে।