ঢাকা: ‘নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়া বা নিজেকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নেই,’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের পুড়ে যাওয়া কৃষি মার্কেট আজ রবিবার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে। সেই গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই যে কোনো মার্চ তারা (বিএনপি) করতে পারে। আমি দোয়া করি যেন এ রোডমার্চ শান্তিপূর্ণ থাকে। এই রোডমার্চ করতে করতে যেন বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করে ফেলে। তাদের যা যা করণীয় শান্তিপূর্ণভাবে করুক। বিএনপি ও তাদের ভুল পথচারীদের নির্বাচনের পথে এলে অভিনন্দন জানাব। নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়ার, নিজেকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নেই।’
আগুন কীভাবে লেগেছে তার জন্য মার্কেট কমিটিকে একটি তদন্ত কমিটি করার জন্য আহ্বান জানান ঢাকা ১৩ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, ‘সরকারের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি আপনারা একটি ছোট তদন্ত কমিটি করবেন। কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি বের করবে। কী দুর্বলতা ছিল? কী দুর্বল দিকগুলো ছিল?’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যার যেখানে দোকান ছিল সেখানেই তাকে বরাদ্দ দিতে হবে। এখানে আমরা আকাশকুসুম কল্পনা করতে চাই না। ছয় তলা, নয় তলা, ১৪ তলা মার্কেট কবে হবে, এই ভরসার জোরে মানুষগুলো অনিশ্চয়তায় থাকতে পারে না। দোকান মালিক, দোকানদাররা যা চাইবেন তাই হবে এর বাইরে কিছু হবে না। আমরা এর বাইরে কিছু করতে দেব না। মার্কেটটা হলো নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মার্কেট। সেই প্রাণের মার্কেটটি পুড়ে গেছে, আমাদের হৃদয় পুড়ে গেছে।’
দোকান বরাদ্দের প্রসঙ্গে নানক বলেন, ‘এখানে কেউ বঞ্চিত হবে না। অসাধু চিন্তা বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই। আমি মেয়রের সাথে আলাপ করব। সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে তদারকি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ নিউইয়র্কে গেছেন। তিনি দেশে ফিরলে তার সাথে আমি এ বিষয়ে কথা বলব।’
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদসহ মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষি মাকের্টের বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।