ঢাকা: ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের বৈঠকে আঞ্চলিক সহযোগিতা, জঙ্গিবাদ দমন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ভারত সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার নয়াদিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে তাঁর বাসভবনে এবং সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তড়ের সঙ্গে বিজেপি সদর দপ্তরে আলাদাভাবে বৈঠক করে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত এ দলে আছেন। প্রতিনিধিদলটি গতকাল নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠক করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দুই দেশের মধুর সম্পর্ক চলছে।
এদিকে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা গতকাল নয়াদিল্লিতে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি গত প্রায় ১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিজেপি সভাপতি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জঙ্গিবাদ দমন, উন্নয়নে বিজেপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লক্ষ্য অভিন্ন।
বিজেপি সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশেই নয়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, বিজেপি সভাপতির এই আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দিতে সফররত আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের নেতারাও একই সুরে কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের কাছে প্রতিবেশীই প্রথম। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অনেক আবেগ ও বন্ধুত্বের। এই সম্পর্ক ঐতিহাসিক। তারা জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায়।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের আলাদা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনায় দুই দেশ ও দুই রাজনৈতিক দলের বন্ধুত্বের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।