ঢাকা: বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এত ক্ষুধা, রাজনৈতিক ক্ষুধা। কিসের রাজনীতি করেন? তিন দিনও খাইনি আমরা। ক্ষুধা লেগেছে তিনি খেয়েছেন, একটা সৌজন্য। একজন রাজনৈতিক কর্মী ফল পাঠিয়েছেন, এটা পাঠাতেই পারেন।

তিনি অসুস্থ হয়েছেন, ফল পাঠাতেই পারেন। রাজনীতিতে সৌজন্যতা আছে।’

 

আজ সোমবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশের পরদিন বিএনপি ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি দিল।

পথ অবরোধ করবে, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ, ঢাকা-ময়মনসিংহ রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। এটা কেমন কর্মসূচি? এটা কোন গণতন্ত্র? নির্বাচন সামনে রেখে যারা এ কর্মসূচি দেয়, ভিসানীতি তাদের ওপর বর্তায়। কারণ এটা পরিষ্কার নির্বাচনে বাধা।

 

ভিসানীতি যদি কেউ প্রয়োগ করে তাহলে এটা বিএনপির পাওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ কথা বলতে চাই, বিএনপি হোঁচট খেয়ে গোলাপবাগ থেকে সোহরাওয়ার্দী গেল।

কোথায় গেল সে সাহস? পুলিশের অনুমতি নাকি নেবে না। পরে অনুমতি নিয়েই তো গেল। রাজনীতি এত সোজা!’

 

পুলিশের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রামের প্রবেশপথে রাস্তা বন্ধ করে দিলে পুলিশ কি চুপ করে বসে থাকবে? জনগণের জানমাল রক্ষা, চলাচল নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। নির্বাচনের আগে ও পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায় আওয়ামী লীগ।

কিন্তু বিএনপি যেকোনো মূল্যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়।’

 

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার প্রতিনিধি, বিদেশি কোনো দূতাবাস, ইইউ বা অন্য কেউ যারাই আলোচনা করেছে, এ পর্যন্ত বলেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ কিংবা সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। বিএনপির যে মূল দাবি তার সঙ্গে কেউ নেই। আমরাও চাই শান্তি পূর্ণ নির্বাচন, তারাও চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপির এক দফার সঙ্গে কেউ নেই।’

মতবিনিময়ের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও ঢাকা-১৭ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।