ঢাকা: নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারো নেই উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখানে নির্বাচন পরিস্থিতি ভালো। নির্বাচনের পরিবেশ কেউ নষ্ট করছে কি না, সেটা এখন দেখার বিষয়। কেউ যদি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়, সেটি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার সামিল।

আজ সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন।

 

বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি প্রতিনিধি দল আসবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধি দল আসা তো ভালো। বাংলাদেশের নির্বাচন কেমন হবে সেটা দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমরাও চাই তারা আসুক, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক।

সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে বিরোধীদলকে দমনের চেষ্টা করছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করি না।

বরং সহজলভ্যতার সুযোগ নিয়ে বিএনপি তাদের পেইড এজেন্ট দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী থেকে শুরু হরে সরকারদলীয় নেতাদের চরিত্র হনন করছে। তারা যে পেইড এজেন্ট নিয়োগ করেছে তা এরই মধ্যে প্রমাণিত।

 

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে অনুরোধ জানাব পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত।

এখন বাংলাদেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এখন গ্রামের গৃহবধূ, স্কুলের শিক্ষার্থী, রিকশাওয়ালা, ক্ষেতে কাজ করা ব্যক্তিও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এই ইন্টারনেটকে সর্বজনীন করেছে বর্তমান সরকার।

 

হাছান মাহমুদ বলেন, যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসে সরকারের, মন্ত্রীদের, সরকারি দলের নেতাদের চরিত্র হনন করে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে তারেক রহমান। সেই বৈঠকের ছবিও আমাদের কাছে আছে।

এটা কেবল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে করতে পারছে, যা সমীচীন না। এগুলো ডিজিটাল অপরাধ।

 

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না, আর সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাদের নামে হামলা-মামলা করা হচ্ছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই, বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিক। ২০১৮ সালের মতো নয়, বরং পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশ নিক। এক দিকে তারা বলছে, নির্বাচনে যাবে না, আবার বলছে সরকার তাদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছে। আমরা কাউকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছি না। আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং সংবিধান মেনে যে নির্বাচন হবে, তাতে অংশ নিক বলে জানান তিনি।