ঢাকা: রাশিয়া, ভারত, চীন, ব্রাজিল ও সাউথ আফ্রিকা এই পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত জোট ব্রিকস-এর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেন্সবার্গে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় অনুষ্ঠিত আইএলও সম্মেলনে যোগদানকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিকস-এর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাংলাদেশসহ ৮টি দেশকে ওই সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

 

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের জানান, জেনেভায় সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীকে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি ব্রিকস-এর জোহানেন্সবার্গের সম্মেলনে আমন্ত্রণ করেছেন।

ইতিমধ্যে আমরা আমন্ত্রণপত্র পেয়েছি। আজকের বৈঠকে নিশ্চিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যাবেন কিনা চূড়ান্তভাবে জানানো হয়নি। আমার মনে হয় যাবেন।

 

তিনি আরো জানান, ব্রিকস বাংলাদেশসহ ৮টি দেশকে অবজারভার হিসেবে আমন্ত্রণ করেছে। ওই সম্মেলনে ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে সরকার সেটা বিবেচনা করবে। কারণ, এটি দিন দিন বড় ও কার্যকর অর্থনৈতিক সংস্থা হয়ে উঠছে।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মো. আব্দুল মজিদ খান, কাজী নাবিল আহমেদ ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফরের উপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

মার্কিন কংগ্রেসম্যান, সিনেটর ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের কতিপয় সদস্যের বাংলাদেশের নির্বাচন, শ্রম আইন ও অন্যান্য বিষয়ে চিঠির প্রেক্ষিতে গৃহীত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি বিশ্ব অঙ্গনে অটুট রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন প্রেস ব্রিফিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়।