ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৬ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার প্রস্তুতির জন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীর সময় আবেদন করলে শুনানির তারিখ পিছিয়ে এ আদেশ দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল।
১৬ বছর আগে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয় গত ১৯ মার্চ। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের এজলাসে বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান খালেদা জিয়াসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর মধ্যে গত ১৭ মে মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এছাড়া সাবেক আইনমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এই মামলায় আসামি থাকলেও তারা মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।