ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দেয়নি এবং কাউকে খালি মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগও দেয়নি। আমরা সর্বদা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘আওয়ামী লীগ খালি মাঠে গোল দিতে চায়’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম খালি মাঠে গোল দেওয়ার কথা বলেছেন! আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাত দশকের বেশি সময় ধরে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও আইন প্রতিষ্ঠায় নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সামরিক স্বৈরাচারদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাকে অকক্ষুণ্ণ রেখেছে আওয়ামী লীগ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের নামে তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাসী ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, বিএনপির এসব সন্ত্রাসীবাহিনী জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করে, অথচ এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই গণমাধ্যমের সামনে তারা ‘বিরোধী দল দমন’-এর বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করে।
তিনি আরো বলেন, সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে বদ্ধপরিকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামাত অশুভ জোট আমলের সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এবং ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তাদের সংঘটিত অগ্নিসন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সময়ের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে দায়েককৃত মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া দীর্ঘ দিন যাবত চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ নয় বলেই প্রচলিত আইন অনুযায়ী দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই মামলাসমূহ পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে বিচারিক প্রক্রিয়াকে চিরাচরিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন গঠন আইন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে যদি প্রশ্ন করি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে বিএনপি কী কখনো কোনো ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল? বিএনপি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রহসনের হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন, ছলচাতুরী ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনমূলক ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০০৬ সালে তাদের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’র অপমৃত্যু ঘটানো ও ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার সৃষ্টিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেনি।
সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবারও জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাব- এমন আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।