NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, জুন ৭, ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Logo
logo

আলভারেজকে নিয়ে বিতর্কের জেরে নিয়মই বদলে গেল পেনাল্টির


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ জুন, ২০২৫, ১০:০৬ এএম

আলভারেজকে নিয়ে বিতর্কের জেরে নিয়মই বদলে গেল পেনাল্টির

২০২৪-২০২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজের একটি পেনাল্টি শ্যুটআউট নিয়ে চরম বিতর্ক হয়েছিল। গেল মার্চে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোতে শহর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে ওই ঘটনাটি ঘটে।

শ্যুটআউটের সময় পেনাল্টি নিতে গিয়ে পা পিছলে যায় আলভারেজের এবং বল তার বাম পায়ে লেগে যায়। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ওই শ্যুট রিয়ালের গোলরক্ষক থুবো কর্তোয়াকে বোকা বানিয়ে জালে জড়ালেও রিভিউর পর সেই গোল বাতিল করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত অ্যাতলেতিকো ম্যাচটি হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে।

 

আলভারেজের সেই ‘ডাবল স্পর্শের’ বিতর্কিত পেনাল্টি নিয়ে এবার নতুন নিয়ম করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ম প্রণয়নকারী সংস্থা- আইএফএবি। পেনাল্টি কিক সংক্রান্ত আগের নিয়মে অস্পষ্টতা থাকায় মঙ্গলবার সেটি আরও স্বচ্ছ করেছে সংস্থাটি।

ফিফা-সমর্থিত আইএফএবি জানিয়েছে, এখন থেকে যদি কোনো খেলোয়াড় অনিচ্ছাকৃতভাবে পেনাল্টি নেওয়ার সময় নিজের পায়ে বল দ্বিতীয়বার স্পর্শ করে এবং সেটি গোল হয়, তাহলে সেই পেনাল্টি পুনরায় নেওয়া হবে।

 

আইএফএবি বলেছে, ‘এই পরিস্থিতি বিরল এবং আইন ১৪-তে সরাসরি ব্যাখ্যা না থাকায় রেফারিরা সাধারণত শ্যুটকারীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। তবে এই নিয়ম (গোল বাতিল) তখনই প্রযোজ্য হবে, যখন পেনাল্টি নেওয়ার সময় খেলোয়াড় ইচ্ছাকৃতভাবে বল দ্বিতীয়বার স্পর্শ করেন।’

দ্বিতীয়বার আলভারেজের পায়ে বল স্পর্শ করে ওই ম্যাচে। ছবি: সংগৃহীত

আইএফএবি আরও ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, যদি অনিচ্ছাকৃত দ্বিতীয়বার স্পর্শ করে এবং গোল না হয়, তাহলে সেটি পুনরায় নেওয়া হবে না। শুটআউটে সেটি পেনাল্টি ‘মিস’ হিসেবে গণ্য করা হবে। আর ম্যাচের মূল সময় বা অতিরিক্ত সময়ে এমনটা হলে প্রতিপক্ষ দলকে ফ্রি কিক দেওয়া হবে।

 

ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (উয়েফা) জানিয়েছে, নতুন এই নিয়ম বুধবার থেকেই কার্যকর হবে। অর্থাৎ আজ রাত মিউনিখে নেশনস লিগ সেমিফাইনালে জার্মানি ও পর্তুগালের লড়াইয়ে এ নিয়মের প্রতিফলন দেখা যাবে। ক্লাব বিশ্বকাপেও (১৪ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু) এটি প্রযোজ্য হবে।

 

 

 

উল্লেখ্য, আইএফএবি গঠিত হয়েছে ফিফা ও চার ব্রিটিশ ফুটবল সংস্থার সমন্বয়ে। সেখানে ৮ ভোটের মধ্যে ৬ ভোটে আইন পরিবর্তন সম্ভব। এর মধ্যে ফিফার ৪ ভোট এবং বাকি ৪টি ব্রিটিশ ফেডারেশনগুলোর (ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড) মধ্যে বিভক্ত।