NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, জুন ৭, ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Logo
logo

কানাডার পার্লামেন্টে বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৩:১৪ এএম

কানাডার পার্লামেন্টে বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে কানাডার পার্লামেন্টে। কানাডার এমপি চন্দ্রকান্ত আর্য গত ৬ নভেম্বর পার্লামেন্টে প্রদত্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে যথাযথ সহযোগিতার জন্য পশ্চিমা বিশ্বে কানাডাকে নেতৃত্ব গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। 

লিবারেল পার্টির এই এমপি কানাডা পার্লামেন্টে আন্তর্জাতিক ব্যবসা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বিনিয়োগে অভিজ্ঞ। 

প্রদত্ত বক্তব্যে চন্দ্রকান্ত আর্য বলেছেন, গত গ্রীষ্মে আমি বাংলাদেশ সফর করেছি। সেখানে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ/বৈঠক করেছি। আমি হিন্দু মন্দির, বৌদ্ধ মঠ এবং একটি গির্জাও পরিদর্শন করেছি। সেখানকার ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কজন নেতার সাথেও দেখা করেছি। অনেক ব্যবসায়ী নেতার সাথেও কথা হয়েছে। সুদূর প্রসারি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশকে চমৎকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে দেশটি তার লাখ লাখ গরীব মানুষকে দারিদ্র্যমুক্তির পথ দেখিয়েছে। চরম দারিদ্রবস্থা থেকে তারা পরিত্রাণ লাভে সক্ষম হয়েছেন। 

 

৬০ বছর বয়সী ভারতীয় আমেরিকান চন্দ্রকান্ত আর্য নির্বাচিত হয়েছেন কানাডার নিপীন প্রদেশের রাইডিং থেকে। এলাকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে রাজনীতিতে উত্থান ঘটা চন্দ্রকান্ত আরো বলেছেন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মত অবকাঠামোগত প্রকল্পে বিদেশী বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো চাঙ্গা করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একইসাথে প্রত্যাশার পরিপূরক কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। 

চন্দ্রকান্ত এমপি বলেছেন, দিপ্ত প্রত্যয়ে উন্নয়নের পথে ধাবিত হবার এমন চমৎকার সময়ে আমি কানাডাকে বাংলাদেশকে সমর্থন করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতি আরো সুসংহত করার জন্য। একইসাথে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহকেও বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কানাডাকে নেতৃত্ব গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছি। বাংলাদেশ যাতে আরো বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে সে নিশ্চয়তার জন্যই এটা জরুরি।