চীনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় শুক্রবার (৬ জুন) উদযাপিত হচ্ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল আজহা। কয়েক কোটি চীনা এবং বিদেশি মুসলিম আনন্দের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করছেন।

চীনের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে হুই মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জিনজিয়াংয়ে বড় আকারের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ও রয়েছে। এই বৈচিত্র্যময় ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের কারণে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন রীতিতে ঈদ উদযাপিত হয়।

 

ঈদের সকালে চীনা ও বিদেশি মুসলিমরা দেশজুড়ে নানা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নারীদের জন্য পৃথক নামাজের জায়গারও ব্যবস্থা ছিল, যাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করতে পারেন।

 

বেইজিংয়ের নিউজিয়ে মসজিদ সাধারণত শহরের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত আয়োজন করে। তবে চলমান সংস্কারকাজের কারণে এবার সেখানে জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। তবুও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ ও উৎসব চলেছে।

সব মসজিদে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একজন তুর্কি নাগরিক বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, সাধারণ সময়ে মসজিদের আশেপাশে নিরাপত্তারক্ষী দেখা যায় না; কিন্তু ঈদের দিনে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন ছিল।

নামাজের পর মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনেক মসজিদেই মুসল্লিদের জন্য ফল, মিষ্টি এবং স্থানীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।

 

পরে যারা কোরবানির পশু কিনেছেন, তারা নির্ধারিত স্থানে গিয়ে পশু কোরবানি দেন। এই কোরবানি ঈদুল আজহার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষঙ্গ, যা ত্যাগ ও ভক্তির প্রতীক। যারা পশু কোরবানি দেন না, তারা সাধারণত রেস্টুরেন্টে গিয়ে উৎসবের খাবার উপভোগ করেন।

 

 

 

চীনে ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে পাকিস্তানের নাগরিক হাসীবুর রহমান বলেন, পরিবার ছাড়া এ ধরনের উৎসব উদযাপন করা সত্যিই কঠিন। আমি আমার দেশ ও প্রিয়জনদের খুব মিস করছি। তবে চীন একটি শান্তিপূর্ণ দেশ, যেখানে আমরা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারি।