একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত হঠাৎ করেই হারিয়ে যান গ্ল্যামার জগৎ থেকে। অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে অভিনেত্রী অনেকবারই ইঙ্গিত করেছেন বলিউডের অন্ধকার জগতের। যেখানে যৌন হেনস্তা একটি বিষাদময় অধ্যায় ছিল তার জন্য। সেই সঙ্গে ছিল মাফিয়াদের নজর।
এর আগে একাধিকবার নিজের অভিনয় জীবনের ইতি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তনুশ্রী। অভিনেত্রী সরাসরি আঙুল তুলেছেন, বলিউড মাফিয়াদের দিকে। বিশেষ করে ‘মি-টু আন্দোলন’-এ নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরেই নাকি তাঁর জীবন হয়ে উঠেছে নরক–এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রী দাবি করেছিলেন, ২০০৯ সালের ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিংয়ের সময় নাকি তাঁকে বাজেভাবে স্পর্শ করেন অভিনেতা নানা পাটেকার। কার্যত এর পর থেকেই বলিউডে শুরু হয় ‘মি-টু’ আন্দোলনের ঝড়। একের পর এক নায়িকা, বলেউডের প্রযোজক পরিচালকের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন। তবে নানা পাটেকারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খানিক অন্যরকম হয়ে দাঁড়ায়।
বলিউড থেকে কার্যত হারিয়ে যাওয়ার পর বিদেশে চলে যান তনুশ্রী।
এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “আমি আমার কেরিয়ার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি। মানুষ আমার সঙ্গে কাজও করতে চাইছে। ছবির অফারও পাচ্ছি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব ভেস্তে যাচ্ছে।” যদিও ভাল স্ক্রিপ্টের খোঁজে এখনও অপেক্ষায় অভিনেত্রী।
নানা পাটেকার ছাড়াও ‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছিলেন তনুশ্রী। নায়িকার অভিযোগ, বিবেকের সিনেমার শুটিংয়ের সময় ছোট পোশাক পরতে হতো। এমনকি শট দেওয়ার পরও বিরতির সময়ে গা ঢাকতে দিতেন না বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছোট পোশাকে সকলের সামনে বসে থাকতে বাধ্য করতেন।