সিলেট ও সুনামগঞ্জের তিন সীমান্ত দিয়ে একরাতে আরও ৬৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২৮ মে) ভোরে সিলেটের কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর এবং সুনামগঞ্জের নোয়াকোট সীমান্ত এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।
পুশইন করা নারী-পুরুষ সবাইকে আটক করেছে বিজিবির টহল দল। তাদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ২২ জন নারী ও ২৮ জন শিশু। আটকদের বাড়ি কুড়িগ্রাম, যশোর ও বাগেরহাট এলাকায়।
বুধবার সকালে বিজিবি সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি জানায়, ৪৮ বিজিবির অধীনস্ত তিনটি সীমান্ত দিয়ে কয়েকটি গ্রুপে বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটা থেকে চারটার মধ্যে ৬৮ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। পুশইন করা সবাইকে সকালের মধ্যেই আটক করেছে বিজিবি।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ঝিংগাবাড়ি এলাকা থেকে পুশইন করা ৬টি পরিবারের ২০ জন সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৭ জন শিশু। আটক সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
অন্যদিকে বিজিবির অপর একটি টহল দল সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর বিওপির অন্তর্গত জাফলং ভ্যালি বোর্ডিং স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে আরও ৩২ জনকে আটক করে। আটকরা ৫টি পরিবারের সদস্য। তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ১০ জন নারী ও ১৫ জন শিশু। আটকদের মধ্যে কুড়িগ্রামের ১৯ জন, যশোরের ৯ জন ও বাগেরহাটের বাসিন্দা ৪ জন।
এছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলার নোয়াকোট বিওপির অন্তর্গত ছনবাড়ি এলাকা থেকে আরও ৫ পরিবারের ১৬ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাদেরকেও বিএসএফ পুশইন করেছে। আটকদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
বিজিবি সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান, ৪৮ বিজিবির আওতাধীন সিলেটের তিনটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে কয়েকটি গ্রুপে ৬৮ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। তাদের সবাইকে সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করেছে বিজিবির টহল দল। আটকদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।